নাই হয়ে যাবার অদৃশ্য গল্প, কিংবা পৌনঃপুনিকতায় জাতিস্মরের অস্তিত্বের রূপকথা
জীবনকে ওরা ডিফাইন করতো শরতের হবো হবো মন কেমনের নীলাভ সন্ধ্যায় মাটির সোঁদা গন্ধের মায়ায় মৃদু হিম বাতাসে ঢলতে ঢলতে কিংবা হাওয়ার উপর ভরে করে শেষ বিকেলের ঝাপ বৃষ্টিতে জুবুথুবু কমলা রঙের হাওয়াইন শার্ট গায়ে খোকনের ঘরে ফেরবার পথে বামুন বাড়ির সামনে তুলসী-তলায় হুইসেলের মতো সাঁই করে বেজে ওঠা শঙ্খকাব্যের ধ্বনিত নীরবতার সাথে। তারপর ইলিউশনাল কাল-রাত্তিরের আরেক ঝাপটা মেঘ শেষে তাঁরা স্বর্গ-বেতার মাফিক মর্ত্যেলোকের কবিদের শব্দে প্রচার করতে শুরু করলো নতুন ন্যারেটিভ, জীবনের আসল অলীকতা আসলে নিহিত আছে নৈরাশ্যবাদে। নক্ষত্রের ইশারা ভাঙবার পর, তারপর কোথাও কিচ্ছুনা থেকে কোত্থেকে কী যে হলো, অসুখে ডুবে গেল সমস্ত পৃথিবী। কোথাও কোনো দিশা নাই। অরুন্ধতির নক্ষত্রের ছায়াও আজ ম্লান। চারপাশ ঘিরে থাকে ছায়াচ্ছন্ন বিভ্রান্তি। নেই কোনো সুরের নির্ভরতা। সেই থেকে নেই কোনো ছন্দময় পথচলা। চারপাশে শুধুই অস্পষ্টতার ঘূর্ণাবর্ত প্রতীক। যেন অদৃশ্য হেমলক মিশ্রিত বাতাসের ন্যায় সর্বত্র ছড়িয়ে আছে হতাশা, অবসাদ, কিংবা বিভ্রান্তির যত্তসব ক্লিশে অউপাদান। নিজের দিকে তাকালে দেখতে শুরু করি নাই হয়ে যাওয়া স্বপ্নের দেশের পরিত্যক্ত মানচিত্রের ...