মহানগর-র দ্বিতীয় কিস্তি
সাধারণত যেটা হয়, কোনো কনটেন্টের প্রথম কিস্তি বেশ জনপ্রিয় হলে নির্মাতা এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বেশ উঠে পড়ে লাগে পরবর্তী কিস্তি আনার জন্য। এবং বেশিরভাগ সময়ই পরবর্তী কিস্তি দর্শকদের মনমতো হয় না। এখানে মহানগর ব্যাতিক্রম লেগেছে। নির্মাতা আশফাক নিপুণ বেশ সময় নিয়ে, শ্রম দিয়ে দ্বিতীয় কিস্তি এনেছেন। বলা যায়, মহানগর-১কে দ্বিতীয় কিস্তি ছাপিয়ে গেছে।
মহানগর ছিলো ঢাকা মহানগরকে কেন্দ্র করে এক রাতের গল্প। দ্বিতীয় কিস্তিতে নির্মাতা আমাদের নিয়ে গেছেন ওসি হারুনের ব্যাকস্টোরিতে। উঠে এসেছে দেশের গার্বেজ সোশিও-পলিটিক্যাল কিছু ব্যাপার-স্যাপার। আস্তে আস্তে গল্প এগিয়ে গিয়েছে। গল্পের সাথে মোশাররফ করিম, ফজলুর রহমান বাবু, আফসানা মিমিসহ সবার অভিনয় বেশ থ্রিলিং আবহ সৃষ্টি করেছে। একজন আরেকজনের থেকে কম না, সবই পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছে।
স্ক্রিন রাইটিং, ক্যামেরার কারসাজি, ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর - সব মিলিয়ে দারুণ এক অভিজ্ঞতা মহানগর-২। দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো, আশফাক নিপুণ / মহানগর টিম বেশ যত্নের সাথে কাজ করেছে। এতো চমৎকার একটা কনটেন্ট দর্শকদের দেয়ার জন্য আশফাক নিপুণ একটা ধন্যবাদ পেতেই পারেন। প্রথম কিস্তিকে বেশ ভালো ভাবেই ছাপিয়ে গিয়েছে মহানগর-২।
আরেকটা ব্যপার, মহানগরের ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর আমার এতোই ভালো লেগেছিলো যে, ইন্টারস্টেলারের স্কোর যেমন করে শুনতাম, বিশেষ করে লেজার টাইমে, মহানগরের ট্র্যাকও এভাবে শুনি। কী যেনো একটা আছে!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন